ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতিতে সক্রিয় এ নেতা সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। শিক্ষাজীবন শুরু হয় বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে, এরপর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
জানা গেছে, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করা এবং উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে বলে দাবি করেন তার সমর্থকরা। তবে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি রাজনৈতিক মামলা চলমান রয়েছে, যেগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হচ্ছে।
দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং তিনি নির্যাতিত নেতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগেই দেলোয়ার হোসেনের প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা জোরেশোরে চলছে। তার সমর্থকরা আশা করছেন, নির্বাচনে তিনি জামায়াতের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
জেলা জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ বলেন, একটি নিরপেক্ষে, গণতান্ত্রিক ভোটের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এবার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে এটা স্বাভাবিক। জামায়াত তাদের প্রার্থী দিয়েছে এটা তাদের ভোটের একটি অংশ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী এ প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে, যা নির্বাচনী কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।