কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ৫ তলার বারান্দায় পাতা অরক্ষিত অতিরিক্ত শয্যা থেকে পড়ে গিয়ে ওসমান গনি (৪৭) নামের এক রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১২টার সামান্য আগে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পড়ে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি শহরের চকবাজারের বালুধুম পেরিয়ে দৌলতপুরে।
নিহতের স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়রা জানায়, ওসমান গনি শরীর খারাপ লাগায় অস্থিরতা করছিল। ঘুম না আসায় শয্যার সঙ্গে দেওয়ালের পিলারে হেলান দিয়ে বসেছিল। শয্যা বারান্দায় থাকায় পাশে কোনো লোহার গ্রিল বা দেওয়াল সুরক্ষিত ছিল না। শয্যা থেকে সামান্য উঁচুতে কোমর সমান দেওয়ালের রেলিং ছিল। এরপর খোলা অরক্ষিত। পাশেই স্ত্রী একই শয্যায় শুয়ে ছিলেন।
ওসমান গনির স্ত্রী জানান, রাত ১২টার সামান্য আগে দেখি হেলান থেকে গড়িয়ে মাথা ঝুঁকে নিচে পড়ে যাচ্ছেন। তার পা আমার শরীরে লাগলে এ অবস্থায় জেগে পা ঝাপটে ধরে রক্ষা করার চেষ্টা করি, পারি নাই। নিচে পড়ে যান।
জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে যান ওসমান গনি। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় দুদিন ধরে ঘুরে বেড়াতে হয় তাকে। পরে দালালের মাধ্যমে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বারান্দার পাশে অরক্ষিত স্থানে শয্যার ব্যবস্থা করে ভর্তি হন।
ঘটনার পরপরই সার্জারি বিভাগের দায়িত্বশীল কাউকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ড মাস্টার বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে এ শয্যাটি সরিয়ে নেন।
ওসমান গনির স্ত্রী কোহিনুর বেগম বলেন, আমার স্বামী চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে তিনি জীবন হারিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।