শহীদ পরিবার ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গণইফতার করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের বড় বোন ও শহীদ আনাসের পরিবার উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত হয় ইফতার মাহফিলটি।
ইফতারে জবি ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক সোহাগ আহমেদ বলেন, বিগত সময়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমাদের ঐক্যই ছিল আমাদের শক্তি। একটি গোষ্ঠী আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে এ ঐক্যকে ভেঙে দিতে চায়। সবার প্রতি আহ্বান, আমরা যেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রশ্নে বিভক্ত না হই।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, অনেকে বলাবলি করছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। আমি দেখেছি শাহবাগে যে কয়টি মিছিল গেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিছিল নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আমি আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছি। প্রায়ই আমার সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের মিটিং হতো।
জানা গেছে, প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর জন্য এ আয়োজনটি করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। আয়োজনের পেছনে ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক নূর নবী, যুগ্ম সহকারী সচিব কিশোর সাম্য এবং সংগঠক ফয়সাল মুরাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও নেতারা।