ডিপিএলের উত্তেজনাপূর্ণ সুপার সিক্স পর্বে যেখানে আলোচনার কেন্দ্রে থাকার কথা ছিল ২২ গজের ক্রিকেট, সেখানে কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন মোহামেডানের তরুণ ব্যাটার ও তামিম ইকবালের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব বুঝে পাওয়া তাওহীদ হৃদয়—তাও আবার মাঠের বাইরের ঘটনায়।
দুই দফা নিষেধাজ্ঞা, আম্পায়ারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে খেলোয়াড়দের বৈঠক—সব মিলিয়ে হৃদয় যেন পরিণত হয়েছিলেন এক বিতর্কিত অধ্যায়ে। সেই বিতর্কের রেশ এখনো না কাটতেই, আবাহনীর বিপক্ষে অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে মাঠের বাইরে থেকে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক আবেগঘন বার্তায় প্রকাশ করলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।হৃদয়ের ভাষায়, এবারের প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান কেবল প্রতিপক্ষ নয়, লড়েছে পরিস্থিতির বিরুদ্ধেও। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২২ গজের বাইরেও একপ্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতটা মোহামেডান করেছে।
এখানেই শেষ নয়। হৃদয়ের বার্তায় উঠে এসেছে সেই না বলা কথাগুলোর ইঙ্গিত, ‘প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনও জানার সুযোগ হয় না।… যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেন পারছি না তা নাহয় পরেই বলব!’
নিজেকে শুধরে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে হৃদয় বলেন— ‘নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে। পরিবারের অপর মানুষটা যেন ছোট বা অপমানিত না হয় সেজন্য নিজেকেও অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আজকের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে ছিলেন না, আর তার দল হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে। এমন ম্যাচে মাঠে থাকতে না পারা হৃদয়ের জন্য ছিল যন্ত্রণাদায়ক—সে কথা স্পষ্ট তার কথায়: ‘মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ প্লেয়ার, শ্রদ্ধেয় কোচ ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।’